![]() |
২০২৫ সালের মহা শিবরাত্রি কেন বিশেষ? এই শিবরাত্রিতে চার প্রহরের সময় ও পূজা বিধি
প্রতি বছর শিবরাত্রি হিন্দু ধর্মে একটি অত্যন্ত পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসেবে পালিত হয়। তবে, ২০২৫ সালের শিবরাত্রি অন্যান্য শিবরাত্রির তুলনায় বিশেষ। এর বিশেষত্ব শুধু এর তারিখ ও সময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এই বছর শিবরাত্রির সঙ্গে কিছু অসাধারণ মহামূল্যবান গ্রহগত অবস্থান এবং আধ্যাত্মিক গুরুত্ব জড়িত।
২০২৫ সালের শিবরাত্রি কবে?
২০২৫ সালের মহা শিবরাত্রি ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
শিবরাত্রিতে চতুর্থ প্রহরের মধ্যে কখন শিবের মাথায় জল ঢালবেন ?
প্রথম প্রহরের পুজো হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধে ৬টা ১৯ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় প্রহরের পুজো হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ২৬ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। তৃতীয় প্রহরের পুজো হবে রাত ১২টা ৩৪ মিনিট থেকে রাত ৩টে ৪১ মিনিট পর্যন্ত। চতুর্থ প্রহরের পুজো হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টে ৪১ মিনিট থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত।
অর্থাৎ, এই শিবরাত্রি ভোরের আলো ফোটার আগ পর্যন্ত পূর্ণরূপে চলবে, এবং এই দিন রাত্রি জাগরণ , মন্ত্র জপ করা এবং উপবাস থেকে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে এই ব্রত পালন করলে আপনার জীবনের সমস্ত দুঃখ্য কষ্ট দূর হবে এবং জীবনে সমস্ত বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে আপনি উন্নতির শীর্ষে পৌঁছতে পারবেন।
কেন ২০২৫ সালের শিবরাত্রি অন্যান্য শিবরাত্রির তুলনায় বিশেষ?
২০২৫ সালের শিবরাত্রি কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রহগত অবস্থানের জন্য এর মাহাত্য অন্যান্য শিবরাত্রির তুলনায় অনেক বেশি। এই বছর শিবরাত্রির সময় একযোগে ঘটছে একটি বিরল মহাজাগতিক প্রভাব। তাই এই মহা শিবরাত্রি একটি বিরল শুভ যোগ এনে দিয়েছে সাধক সাধিকাদের জন্য। এর ফলে এই শিবরাত্রি আরও বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠছে।
২০২৫ সালের শিবরাত্রি বুধবার পড়ছে, যা শিবের জন্য একটি অত্যন্ত শুভ দিন হিসেবে গণ্য হয়। হিন্দু ধর্মে বুধবার গণেশ দেবতার বিশেষ দিন বলে মানা হয়, এবং এটি একটি পুণ্য তিথি। তাই বুধবার গণেশ জির পূজার পরে শিবের পূজা করলে শিবের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যাবে।
২০২৫ সালের শিবরাত্রিতে উপবাসের সময়কাল দীর্ঘতর হওয়ার কারণে ভক্তরা আরও বেশি সময় ধরে পূজা এবং মন্ত্রোচ্চারণ করতে পারবেন। এটি আত্মশুদ্ধি এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির পথকে আরও মসৃণ করবে। সেই সঙ্গে, এই সালের মহাশিবরাত্রি অনেকের জীবনে শুভ পরিবর্তন আনতে পারে।
২০২৫ সালের শিবরাত্রি অন্যান্য বছরগুলির তুলনায় এক অনন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে ধরা যেতে পারে, কারণ এটি প্রায় ২০০ বছর পরে এরকম বিরল দুর্লভ যোগ এসেছে , যা আধ্যাত্মিক ও শারীরিক দিক থেকে আমাদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। এই শিবরাত্রিতে শুদ্ধ মনে, পূর্ণাঙ্গ ভক্তি সহকারে শিবের পূজা অর্চনা ও ব্রত পালন করলে আপনি খুব শীঘ্রই শিবের আশীর্বাদের সুফল দেখতে পাবেন।