হোলিতে কালো জাদু থেকে রক্ষা পেতে ৫ টি উপায়
রং খেলা (দোলযাত্রা/ হোলি)হলো ভারতের একটি প্রধান হিন্দু উৎসবের মধ্যে একটি। প্রতিবছর ফাগুন মাসে পূর্ণিমা তিথিতে এই দোলযাত্রা বা রং খেলা শুরু হয়। এবার রং খেলা বা দোলযাত্রা পড়েছে ১৪ই মার্চ, শুক্রবার ২০২৫ । কথিত আছে একসময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার ছোটবেলায় খুব কান্না করছিলেন, তখন শ্রীকৃষ্ণের মা শ্রীকৃষ্ণকে বলেন রাধা কে রং লাগিয়ে দিতে। এবং তৎক্ষণাৎ শ্রীকৃষ্ণ দৌড়ে গিয়ে রাধার গালে রং লাগিয়ে দেয়। এবং সেই সময় থেকেই এই দোলযাত্রা বসন্ত প্রেম রঙের উৎসব নামেও পরিচিত। এই সময় ভারতে শীতের শেষ এবং বসন্তের আগমন হয় বলে একে বসন্ত উৎসবও বলা হয়।
এই দোলযাত্রা এমনই একটি বিশেষ দিন , যেদিন আধ্যাত্মিক তথ্য হিসেবে বলা হয়ে থাকে যে ইহলোক এবং পরলোকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়। হিন্দু শাস্ত্র মতে কালী পুজোর দিন রাতে ,শিবরাত্রি দিন রাতে এবং এই রং খেলার দিন রাতে এমন একটা বিশেষ সময় আসে যে সময় আপনি যদি আধ্যাতিক দিকে জড়িত থাকেন তাহলে এই দিন রাতে সাধনা করলে সিদ্ধি লাভ করতে পারবেন। আবার যারা তন্ত্র মন্ত্র চর্চা করেন তারাও এই দিন যজ্ঞ করে তন্ত্র সাধনা করে সিদ্ধি লাভ করেন।
কিন্তু অনেক অসাধু ব্যক্তি আছেন যারা এই বিশেষ দিনটিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের ক্ষতি করে থাকেন। মানে কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক ব্যবহার করে মানুষের উপর মরণকিয়া প্রয়োগ করে থাকেন। তাই আপনার বাড়িতে যদি কোন কালো শক্তির আগমন হয়ে থাকে বা এই দিন যদি কেউ আপনার কোন ক্ষতি করতে চায় , তাহলে তার থেকে বাঁচার জন্য এই আর্টিকেলে আমি পাঁচটি প্রয়োগের কথা বলব , যেগুলি করলে কোন নেতিবাচক শক্তি আপনার ক্ষতি করতে পারবে না।
১. চিরাচরিত রীতিনীতি পালন করা :-
রং খেলা ঠিক আগের দিন দহন করা হয় যাকে অনেকে চাঁচর বা ন্যাড়াপড়াও বলে থাকেন। এই দহন বাড়িতে করলে নেতিবাচক শক্তিকে আপনার বাড়ি থেকে দূরে রাখে এবং পজিটিভ শক্তির আগমন ঘটায়।
২. দেবতাদের উদ্দেশ্যে যোগ্য :-
মাত্র তিন দেবতাদের উদ্দেশ্যে আপনি যদি এই ছোট্ট যোগ্যটি করতে পারেন তাহলে কোন মারণ ক্রিয়া বা কোন কালো শক্তি আপনাকে এবং আপনার বাড়ির মানুষদের কোনরকম কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
তিনটে সাদা বাতাসা নিয়ে তাতে প্রত্যেকটিতে দুটো করে ফুটো করে দুটো করে আস্ত ফুল যুক্ত লবঙ্গ তাতে আটকে দিয়ে এবং কয়েকটি কর্পূরের ট্যাবলেট দিয়ে এই প্রক্রিয়াটি করতে হবে।
💡 শুদ্ধ বস্ত্রে ঠাকুরের সামনে বসে প্রথমে হাতে একটি বাতাসা নিয়ে পিত্র দেবের উদ্যেশ্যে যজ্ঞে আহুতি দেওয়ার মতো সামনে একটি পাত্র রেখে তাতে অগ্নিসংযোগ করুন এবং বাতাসা টিকে জ্বালিয়ে দিন এবং পিত্র দেবের কাছে বলুন যে তিনি যেন আপনাকে রক্ষা করেন।
💡 একইভাবে কোন দেবতার উদ্দেশ্যেও দ্বিতীয় বাতসা টিকে হাতে নিয়ে কুলো দেবতাকে প্রণাম করে নিজের মনের কথা বলুন এবং যাতে আপনাদের বাড়ির সবাইকে রক্ষা করে সেটা জানান।
💡 এরকম একইভাবে ইস্টদেবতার উদ্দেশ্যেও তৃতীয় বাতাসাটি হাতে নিয়ে নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার কথা জানিয়ে বাতাস থেকে প্রচলিত করে দিন।
এবং এরপর ওই বাতাসার ছাইটি কোন বটগাছের নিচে বা তুলসী গাছের নিচে মাটিতে ছড়িয়ে দিন।
৩. লবণ স্নান পদ্ধতি :-
আমাদের সকলের বাড়িতে রান্না ঘরে লবণ থাকে, আর যদি আপনি হালকা উষ্ণ গরম জলে এক চিমটে লবণ ফেলে একটি গামলাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট প্রতিদিন পা ডুবিয়ে বসতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের যত নেগেটিভ এনার্জি আছে সেটি এই লবণ শোষণ করে নেবে এবং কোন নেগেটিভ এনার্জি আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। লবণের এই প্রক্রিয়াটি করার পর লবণ জলটি কোন ড্রেনে বা বাথরুমে গিয়ে ফ্ল্যাশ করে দেবেন। লবণ হলো ক্রিস্টাল জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি তাই এটি নেগেটিভ এনার্জি আপনার শরীর থেকে দূরীকরণের জন্য ভীষণ লাভদায়ক একটি পদার্থ।
৪. তেজপাতার প্রক্রিয়া :-
যদি আপনি মনে করেন যে আপনার বাড়িতে কোন নেগেটিভ এনার্জি আছে বা আপনার বাড়িতে কারোর উপর কোন মারনকিয়া করা হয়েছে, তাহলে একটি ছোট্ট প্রক্রিয়ার কথা আমি আপনাদের বলব যেটি করলে যত বড়ই মাননকিয়া করা হয়ে থাকুক না কেন যদি সম্পূর্ণরূপে আপনার বাড়ি থেকে চলে যাবে।
একটি তেজপাতা নেবেন , দুটো থেকে তিনটি কর্পূরের ট্যাবলেট নেবেন আর এক মুঠ কালো সরষে নেবেন। এবার যার উপর ক্রিয়া হয়েছে তার শরীর থেকে মাথা পর্যন্ত অ্যান্টি ক্লক ওয়াইজ পাঁচবার ঘোরাবেন। এবং তারপর সেটিকে একটি কাগজের উপরে বাড়ির চৌপাঠ এর বাইরে নিয়ে গিয়ে জ্বালিয়ে দেবেন। এরকম ১১ দিন করার পর দেখবেন আপনার বাড়ির সেই মানুষটি সুস্থ হয়ে গেছে।
৫. জপ বা আধ্যাত্মিক চেতনা বৃদ্ধি :-
আপনার যদি কোন ইষ্টো দেবতা থেকে থাকে বা আপনি যদি কোন গুরু মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে থাকেন তাহলে এই হোলির দিনে পারলে সারাদিন সারারাত জপ করুন। এছাড়া হনুমান চল্লিশা বা সুন্দর কান্ড পাঠ আপনি এদিন করতে পারেন। এতে যেমন আপনার আধ্যাত্মিক চেতনার বৃদ্ধি হবে তেমনি আপনার ঔরা-ও শক্তিশালী হবে। এবং কোন নেতিবাচক শক্তি আপনার চারপাশে ঘেষতে পারবে না ।
তাই এই আসছে রং খেলার দিনে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মিষ্টি থামানো এবং এই পাঁচটি আধ্যাত্মিক নিয়ম অনুসরণ করার পাশাপাশি মনকে পবিত্র ও শান্তিপূর্ণ রাখুন। ভগবানের কাছে কামনা করি যে, এই রং খেলায় আপনার জীবন থেকে সব ধরনের নেতিবাচক শক্তি দূর হোক এবং আপনি সুস্থ থাকুন এবং সমৃদ্ধি লাভ করুন ।
এই রং খেলায় কালো জাদু থেকে রক্ষা পেতে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সে সম্পর্কে আপনি যদি কিছু শেয়ার করতে চান তাহলে কমেন্টে লিখে অবশ্যই জানাবেন।
%20Recruitment%202024%20Apply%20Online.jpg)
